স্বদেশ ডেস্ক:
আফগানিস্তানে চলমান সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র মানবিক ত্রাণ সহায়তা দেবে। গতকাল তালেবানের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনাকে প্রাণবন্ত খোলামেলা পেশাদারি বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দুপক্ষের মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় গত শনি ও রবিবার দুই দিনব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলো। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনাকে খোলামেলা ও প্রাণবন্ত বললেও আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতির বিষয়টিতে আগের অবস্থানেই রয়েছে ওয়াশিংটন। অর্থাৎ তালেবানের কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়- তার ওপরই নির্ভর করছে আফগান সরকারের স্বীকৃতি। বৈঠকের পর রবিবার রাতে তালেবান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন- মার্কিন প্রতিনিধিরা আফগানিস্তানে আফগান নাগরিকদের সহযোগিতায় ত্রাণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া অন্য ত্রাণ সংস্থাকেও ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ করে দেবে। তালেবানের বিবৃতিতে বলা হয়, ত্রাণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে তালেবানরা যুক্ত হয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনা করবে। এ দাতব্য কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের চলাচালে ব্যবস্থা করবে তালেবান।
মার্কিন মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, দুপক্ষের মধ্যে জরুরি ত্রাণে ব্যাপারে কথা হয়েছে যে, ত্রাণ সহায়তা সরাসরি আফগান জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ত্রাণের ব্যাপারে আর বিস্তারিত না জানিয়ে নেড প্রাইস বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিরা নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও মার্কিন নাগরিকসহ বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েছেন। এ ছাড়া তালেবানরা যেন অর্থপূর্ণ মানবাধিকার নিশ্চিত করে তা নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিরা আলোচনা করেছেন।